খালেদার মুক্তি নাকি জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি, কোনটা চায় বিএনপি? অবশেষে ফাসঁ হলো আসল কারণ

কারান্তরীণ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন স্থগিতের প্রতিবাদে এবং তাঁর মুক্তির দাবিতে আজ প্রতীকী অনশন কর্মসূচি পালন করল বিএনপি। রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলে। এছাড়া দেশের অনেক স্থানেও বিএনপি নেতা-কর্মীরা প্রতীকী অনশন করেছে।

ঈদুল ফিতরের পর এই প্রথম চেয়ারপারসনের মুক্তিতে বড় কোনো কর্মসূচি আয়োজন করল বিএনপি। যদিও কর্মসূচির ধরণ নিয়ে প্রশ্ন আছে অনেক বিএনপি নেতাকর্মীর।

চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া এতিমখানা দুর্নীতি মামলায় বেগম জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। ওই দিনই পুরান ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডের পুরানো ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয় বেগম জিয়াকে। এরপর থেকে গত পাঁচ মাস ধরে কারাগারে আছেন বিএনপি চেয়ারপারসন। আর বেগম জিয়া কারান্তরীণ হওয়ার পর থেকেই টানা কয়েকদিন নানা কর্মসূচি পালন করে বিএনপি, যার মধ্যে আজকের মতোই প্রতীকী অনশনও ছিল। এছাড়া মানবন্ধন, স্বাক্ষর সংগ্রহ, লিফলেট বিতরণ কর্মসূচিও পালন করেছে বিএনপি। তবে বিএনপির এতসব কর্মসূচির পরও বেগম জিয়ার কারাজীবন পাঁচ মাস পূর্ণ করে এখন ছয় মাস চলছে।

আজকের কর্মসূচিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, উনাকে (খালেদা) কারাগারে রেখে দেশে কোনো নির্বাচন হবে না, হতে দেওয়া হবে না। অথচ একই কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করে বিএনপির পন্থী বুদ্ধিজীবী বলে পরিচিত ড. এমাজউদ্দীন আহমদ দলের নির্বাচনে যাওয়ারই ইঙ্গিত দিলেন। প্রতীকী অনশনে অংশ নেওয়া নেতা-কর্মীদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, যেকোনো সময় ডাক আসতে পারে। ড. এমাজউদ্দিন আরও বলেন, কারাগারে নেওয়ার পর খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তা আরও বেড়েছে। একই কথা এর আগেও বলেছেন বিএনপির কয়েকজন শীর্ষ নেতা।

বিএনপির নেতৃবৃন্দের কথায় পরিপ্রেক্ষিতেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা দলটির লক্ষ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাদের মতে, তবে কী বিএনপির লক্ষ্য বেগম জিয়াকে কারাগারে রেখে দলের জনপ্রিয়তা বাড়ানো? কারণ, আইনি প্রক্রিয়ায় ব্যর্থ দলটি আন্দোলনেও ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে। আর এত ব্যর্থতার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য কি একটাই- জনপ্রিয়তা বাড়ানো?

বাংলা ইনসাইডার